পরিবহন শ্রমিক ভাইদের উচিত ছাত্রছাত্রীদের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করা। আপনরা দয়াকরে ছাত্রদের ব্যর্থ করে ঘরে পাঠিয়ে দিবেন না। তাহলে আর কখনও এরা কোনো অন্যায়ের বিচারের দাবি তুলবে না, বিচারের জন্য অপেক্ষাও করবে না। পুলিশের উপর ছাত্রছাত্রিদের আস্থা ইতিমধ্যে সম্পূর্ণরূপে হারিয়ে গেছে। পুলিশের দ্বায়িত্ব এখন এরা নিজের কাঁধে উঠিয়ে নিয়েছে। এখন আপনার এমন কোনো পরিবেশ সৃষ্টি করবেন না যাতে ভবিষ্যতে বিচারের দ্বায়িত্বটাকেও এদের নিজেদের হাতে তুলে নিতে হয়।
আপনারা যারা নিয়ন্ত্রিত গতিতে সংযত হয়ে গাড়ি চালান, যাদের সঠিক প্রশিক্ষন সহ ড্রাইভিং সাইসেন্স আছে তাদের তো কঠোর আইনের জন্য ভয় পাবার কোনো করান নেই। আইনে ফাঁসি বা কঠোর শাস্তির কথা উলেক্ষ্য থাকা মনেই দুঃঘটনার কবলে পরা চালকের ফাঁসি বা কাঠোর শাস্তিই হবে যাবে এমনতো নয়। একজন বিচারকতো সকল বিষয়াদি ও মানবিক দিকগুলো বিচার করেই তার পর রায় দিবেন। তৎক্ষণাৎ রাস্তায় গণধোলাইয়ের শিকার হওয়া থেকে একটা সুন্দর-সুস্থ ব্যবস্থায়র মধ্যে দিয়ে বিচার হবে অপরাধের জন্য শাস্তি পাওয়াটা কি অধিক মঙ্গলজনক নয়? তাই মানুষ যাতে বিচারের প্রতি অস্থাশীল হতে পারে এমন কাজে কি আপানাদের সহযোগিতা করা উচিত নয়?
ছাত্ররা আপনাদের গাড়ি ভাংচুর করেছিল। এইজন্য আপনাদের ছাত্রদের উপর ক্ষোভ থাকতে পারে। সেই সময়কার পরিস্থিতে হয়তো ছাত্রা নিজেদের আবেগকে নিয়ন্ত্রন করতে না পরে এমনটা করেছিল কিন্তু এর জন্য তারা দুঃখ্য প্রকাশ করেছে, প্রতিবাদের দ্বিতীয় দিন থেকে কোথাও কোনো গাড়ি না ভাংচুর করে কী সুন্দর ভাবে রাস্তার সকল অনিয়ম দূর করার মধ্যদিয়ে কী অভিনব ভাবে তাদের প্রতিবাদ জানিয়ে যাচ্ছে। রাস্তায় এইসব অনিয়ম দূর হলে তো তা আপনাদের জন্যও মঙ্গল জনক হবে। তাহলে কেনো আপনারা ছাত্রদের নিজেদের শত্রু বানাবেন।
আপনাদের কি ইচ্ছা করেনা উপযুক্ত প্রশিক্ষন গ্রহন করে সঠিক ড্রাইভিং লাইসেন্স সাথে রেখে ফিটনেসযুক্ত গাড়ি নিয়ে নিরাপদ সরকে চালাচর করতে? ছাত্রছাত্রিরা তো আজ এই দাবিগুলাই তুলছে, এরই বাস্তবায়ন চাচ্ছে। তাই বিরোধীতা না করে আপনাদেরও উচিত ছাত্রদের সাথে এক হয়ে “নিরাপদ সরক চাই”-এর দবিকে প্রতিষ্ঠা করতে সহযোগিতা করা।